ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দরবৃদ্ধির শীর্ষে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সসোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণাআম্বানির বিরুদ্ধে অর্থ-পাচারের অভিযোগ, ইডির তল্লাশি অভিযানবাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপে অস্থিরতা কমেছে ডলার বাজারেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ রূপালী ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
No icon

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে পুঁজিবাজারে ৭ সপ্তাহ ধরে উর্ধমুখী ধারা

মূল্যসূচকের উর্ধমুখী ধারাকে সঙ্গী করে আরও একটি সপ্তাহ শেষ করল পুঁজিবাজার। এ নিয়ে টানা সপ্তম সপ্তাহ বাজারে উর্ধমুখী ধারা ছিল। এ সময়ে কেবল মূল্যসূচক বাড়েনি, লেনদেনও বেড়েছে বাজারে। গত সাত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৭৫৪ পয়েন্ট বেড়েছে। অন্যদিকে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫৭ হাজার কোটি টাকা।

সর্বশেষ সপ্তাহে মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২৫৯.৫৬ পয়েন্ট (৫.০৬%) শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৩৯২ দশমিক ০৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এটি গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অপর দুই মূল্যসূচকও ছিল ঊর্ধমুখী। এর মধ্যে নির্বাচিত ৩০ কোম্পানির সূচক ডিএস৩০ ১৫১.১১ পয়েন্ট (৭.৯১%) এবং শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস ১১৭১.৬৯ পয়েন্ট (৪.৭২%) শতাংশ বেড়েছে।

আলোচিত সপ্তাহে সূচকের মূল্য বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংকসহ কয়েকটি বড় ও ভাল মৌলের ব্যাংকের শেয়ার। পাশাপাশি ভাল মৌলভিত্তির অন্যান্য খাতের শেয়ারেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ২১৫টি বা ৫৪.৫৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ১৪৪টির (৩৬.৫৪%)। অন্যদিকে ৩৫টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে দৈনিক গড়ে ৮৫৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৬.০৯ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬৮১ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন ২০ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। আগের সপ্তাহে বাজারমূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও তেজী অবস্থা ছিল। এই বাজারে গত সপ্তাহে ৩৩৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৮৭টির দাম বেড়েছে, কমেছে ১২২টির এবং ২৭টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

বিশ্লেষকদের মতে, মূল্যস্ফীতি হ্রাস, সরকারি সিকিউরিটিজের সুদ হার হ্রাসের আভাস, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকা মূল্য বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।