ইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের
No icon

ব্যবসায়ীরা হয়রানিবিহীনভাবে ভ্যাট দিতে চান ব্যবসায়ীরা

দেশের ব্যবসায়ীরা হয়রানিবিহীনভাবে ট্যাক্স-ভ্যাট দিতে চান বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি । তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ীরা হয়রানি ছাড়া ব্যবসা করতে চান। হয়রানি ছাড়া ব্যবসার সুযোগ দিলে ব্যবসায়ীরা সঠিকভাবে ট্যাক্স ও ভ্যাট দেবেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে থাকবেন। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিবছরের মতো এবারও দেশব্যাপী ১০ ডিসেম্বর ভ্যাট দিবস এবং ১০-১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ ২০২৩ পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য আমার ভ্যাট আমি দেব, কেনার সময় চালান নেব । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ব্যবসায়ীরা ট্যাক্স-ভ্যাট দিতে চান। কিন্তু যখনই সমস্যায় পড়েন, তখনই ব্যবসায়ীরা ট্যাক্স-ভ্যাট থেকে দূরে সরে আসেন। হয়রানি ছাড়াই যেন ব্যবসা করতে পারি, সেই সুযোগটা আমাদের দেন। ব্যবসায়ীরা কোনো হয়রানি ছাড়াই ট্যাক্স-ভ্যাট দেবেন, সেই নিশ্চয়তা যদি এনবিআর চেয়ারম্যান দেন, তাহলে আমরা কথা দিতে পারি, আমরা ট্যাক্স দেব, ভ্যাটও দেব।

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, অভ্যন্তরীণ মোট উৎপাদন ও কর অনুপাত খুবই কম। প্রতিবেশী ভারতেও বাংলাদেশের চেয়ে কর অনুপাত বেশি। কারণ, তাদের মোট করের বড় অংশ দেয় বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলো। আমরাও বড় শিল্পগোষ্ঠীর কাছে সেই প্রত্যাশা করি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আমাদের উন্নতি হয়েছে, কিন্তু ৩০ বছর ধরে আয়বৈষম্যও বেড়েছে। এই বৈষম্য কমানোর অস্ত্র এনবিআরের হাতে রয়েছে, অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে নেই। আয়কর বিন্যাস ও আয়কর নেওয়ার মধ্য দিয়ে এনবিআর সেই বৈষম্য কমাতে পারে।

অর্থ বিভাগের সচিব বলেন, অন্য দেশে ১০০ টাকা ভ্যাট আদায়ে ৫০ পয়সা থেকে দেড় টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। বাংলাদেশে সেখানে খরচ হয় মাত্র ১৯ পয়সা। রাজস্ব বৃদ্ধি করতে দক্ষ জনবল, অটোমেশনসহ যেকোনো সংস্কার কার্যক্রমে আমরাও খরচ বাড়াব। সরকার এ টাকা দিতে প্রস্তুত।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এনবিআর সদস্য বলেন, সিগারেট খাতে স্থানীয় রাজস্বের পরিমাণ মোট আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ। সরকারের বিদ্যমান নীতি অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে হবে। ফলে এই খাতে রাজস্ব আহরণে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই বিকল্প রাজস্বের উৎস অনুসন্ধান করতে হবে।