ইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের
No icon

অতিরিক্ত শুল্কের কারণে খেজুর আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে

খেজুর আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করায় এবার রমজানে খেজুরের সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফল আমদানিকারকরা। গতকাল রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। সভায় জায়নামাজ, আতর, খেজুরসহ বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসায়ী এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশ ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার রমজানে পর্যাপ্ত খেজুর সরবরাহ করা যাবে কিনা, তা বলা যাচ্ছে না। কারণ, খেজুরে বিলাসী পণ্যের মতো শুল্ক বসানো হয়েছে। নিজের আমদানিতে সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, গত বছর এ সময়ে আমি ২১ হাজার টন আমদানির জন্য এলসি খুলেছিলাম। এ বছর এখনও ৭ হাজার টনের এলসি খুলতে পারিনি। কারণ, পুরো পণ্যের জন্য অতিরিক্ত ১৫ থেকে ১৬ কোটি টাকা বেশি লাগবে। তিনি আরও বলেন, অনেকেই অনলাইনে খেজুর বিক্রি করেন। কিন্তু কেউ কেউ সৌদি আরবের কোনো বাগান বা মদিনার কথা বলে খেজুর বিক্রি করেন। এটা প্রতারণা।

ভোক্তা অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ৪ জানুয়ারি পশ্চিম আগারগাঁওয়ে হারামাইন স্টোরে অভিযান চালানো হয়। তাদের মতো ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে জমজমের পানি, আতর, নকল জায়নামাজ বিক্রি করা চলবে না। এ খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে অভিযান চলবে।সৌদি আরব থেকে চ্যারিটির পণ্য দেশে এনে বিক্রি করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, চ্যারিটি পণ্য হিসেবে পবিত্র জমজমের পানি আনা হয়। একজন ব্যক্তি একটি মাত্র বোতল এই পানি আনতে পারেন। সেটা দেশে নানান চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করা যাবে না।মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রিয়াজুল জান্নাহর নাম করে জায়নামাজ বিক্রি, যথাযথ উৎস ছাড়া পবিত্র জমজমের পানি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ ও বিক্রি, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি, পচা খেজুর বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ, আমদানিকারকের তথ্য ব্যতীত বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করা যাবে না। সভায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ভোগ্যপণ্য আমদানি সহজ করা ও নিবিড়ভাবে বাজার তদারকি করার আহ্বান জানান।বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের গবেষণা কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বলেন, হালাল রিজিকের বড় উৎস ব্যবসা। তিনি ধর্মীয় ভুল ব্যাখ্যা করে ব্যবসা না করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।আসন্ন রমজানে কম লাভ করে উদাহরণ সৃষ্টি করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কোষাধ্যক্ষ ড. মঞ্জুর-ই-খোদা তরফদার।