অবশেষে আগামীকাল (সোমবার) থেকে বাস্তবায়ন হচ্ছে বহুল আলোচিত নতুন ভ্যাট আইন। শনিবার অর্থবিল আকারে আইনটি জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ২০১১ সালে এ আইন প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। এরপর ২০১২ সালের
ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, ভাইবার, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সেবার ওপর করারোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এসব মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হলে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দিতে হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে
আগামী ১ জুলাই থেকে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট আইনের কোন কোন ধারায় আপত্তি রয়েছে সেটা ৪৮২টি ব্যবসায়ী সংগঠনের কাছ থেকে
নতুন আইনে রেয়াত নেয়ার সুযোগ সীমিত হওয়ায় ভ্যাটের বোঝা বাড়বে ভোক্তার ওপর। বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান আইনে এ ধরনের সংশোধনী এনে আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাট ব্যবস্থার উদ্যোগ থেকে সরে এসেছে সরকার। নতুন আইন অসাধু ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেবে
মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) নিয়ে এখনও আপত্তি রয়েছে ব্যবসায়ীদের। তারা বলেছেন, কীভাবে কতো হারে কোন পণ্যে ভ্যাট পরিশোধ করা হবে তা এখনও তাদের কাছে পরিষ্কার নয়। ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে কোন পণ্যে কী পরিমাণ ভ্যাট
নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইনে উৎসে কর কর্তনের আওতা ব্যাপক বাড়ানো হয়েছে। সরকারি-বেসরকারিসহ সব প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের ভ্যাট কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশের ৯০ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রিটার্ন জমা
প্রস্তাবিত বাজেটে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমের বিজ্ঞাপনকে ভ্যাটের আওতায় আনতে সোশ্যাল মিডিয়া ও ভার্চুয়াল বিজনেস-এর সংজ্ঞা দেওয়া হয়। সেখানে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু এ সংজ্ঞায় পড়ে গেছে ই-কমার্স বা
নতুন অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন ভ্যাট আইন চালুর ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামী ১ জুলাই থেকে এ আইন বাস্তবায়ন করা হবে। তবে কিছু অংশ বাজেট ঘোষণার দিন থেকেই বাস্তবায়ন হবে।