বাড়তি রাজস্ব সংগ্রহে করছাড় ও অব্যাহতি কিছুটা কমাবে এনবিআরইআরডি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী বাড়ছে দেশি-বিদেশি ঋণের ঝুঁকিজুন নাগাদ আয়কর রিটার্ন ৪৫ লাখে উন্নীত হবেউল্কা গেমসের কর ফাঁকির ৫০ কোটি টাকা আদায়ে ব্র্যাক ব্যাংকে এনবিআরবাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
No icon

এনবিআরের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এনবিআরের এক দপ্তরের অডিট শেষ না হতেই আরেক দপ্তর অডিট শুরু করে। কখনো বন্ড কমিশনারেট, কখনো শুল্ক গোয়েন্দা, কখনো শুল্ক মূল্যায়ন কমিশনারেট, কখনো আবার ভ্যাট কমিশনারেট অডিট পরিচালনা করছে।গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা মনে করেন, এনবিআরের একটি প্রতিষ্ঠান অডিট করলে আরেকটির করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু প্রতিটি দপ্তর এক থেকে পাঁচ বছরের কম্প্রেহেন্সিভ অডিট করছে। একের পর এক অডিটের মুখে হয়রানির শিকার হয়ে অনেক দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব অভিযোগের সুরাহা করতে এনবিআর চেয়ারম্যানকে চিঠিও দিয়েছেন। এনবিআর চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকেও বহুবার মিলেছে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকার কয়েকটি তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানের মালিক বলেন, এনবিআরের আওতাভুক্ত দপ্তরগুলো নিজেদের খেয়ালখুশিমতো বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। এক দল কর্মকর্তা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাগজপত্র দেখার দু-একদিনের মধ্যেই আরেক দল গিয়ে হাজির হচ্ছে। অনেক সময় রপ্তানির পণ্য পৌঁছানোর আগেই বন্ড কাস্টমস, শুল্ক গোয়েন্দা বা ভ্যাট কর্মকর্তারা হানা দিচ্ছেন। গুদামে পণ্য না পেলে বলা হচ্ছে, মালামাল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগে মামলাও দিয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণ ছাড়া তোলা হচ্ছে অর্থপাচারের অভিযোগও। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঢাকা উত্তর,

দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম; চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহীসহ অন্যান্য বন্ড কমিশনারেট, সহকারী কমিশনার, উপকমিশনার, যুগ্ম কমিশনার, রাজস্ব কর্মকর্তা বা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের দফায় দফায় ফোন করে বন্ড সংক্রান্ত অভিযোগের নামে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধীনস্থ সহকারী কমিশনারসহ একাধিক কর্মকর্তাকে দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রমাগত অডিটে যাওয়ার চাপ দেন। কথা না শুনলে দেন বদলি ও বরখাস্তের হুমকি।এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট যশোধা জীবন দেবনাথ বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের অভিযোগ শুনে আসছি। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন দেশের জীবনশক্তি। তাদের স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা করতে দিন, অযথা হয়রানি বন্ধ করুন। তারা ব্যবসা করতে না পারলে ভ্যাট ট্যাক্স দেবেন কোথা থেকে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিএমইএর এক নেতা বলেন, আমরা প্রাক-বাজেট উপলক্ষে একাধিক আলোচনায় অডিটের নামে সব ধরনের হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছি। এনবিআর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে আমরা ক্রমাগত হয়রানির শিকার হচ্ছি।অভিযোগের বিষয়ে এনবিআর সদস্য হোসেন আহমদ বলেন, আমরা আইন ও বিধি মেনে কাজ করি। কাউকে হয়রানি নয়, সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি এবং চোরাচালান ও অর্থপাচার প্রতিরোধ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। অডিটের নামে হয়রানির অভিযোগ সত্য হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।