বাড়তি রাজস্ব সংগ্রহে করছাড় ও অব্যাহতি কিছুটা কমাবে এনবিআরইআরডি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী বাড়ছে দেশি-বিদেশি ঋণের ঝুঁকিজুন নাগাদ আয়কর রিটার্ন ৪৫ লাখে উন্নীত হবেউল্কা গেমসের কর ফাঁকির ৫০ কোটি টাকা আদায়ে ব্র্যাক ব্যাংকে এনবিআরবাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
No icon

জেলায় জেলায় হবে রাজস্ব ভবন

কর সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং আয়কর ও মূল্য সংযোজন করের আওতা আরো বৃদ্ধি করতে জেলায় জেলায় নিজস্ব রাজস্ব ভবন নির্মাণ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ উদ্যোগের আওতায় রাজস্ব ভবন-১ ও রাজস্ব ভবন-২ নির্মাণ প্রকল্প নামের দুই ধরনের প্রকল্প কাজের প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে রাজস্ব ভবন-১ নির্মাণকাজের জন্য টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর চলছে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। এগিয়ে চলছে রাজস্ব ভবন-২-এর উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরির কাজ। চলতি বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হওয়া বোর্ডসভা সূত্র থেকে রাজস্ব ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়ার এমন অগ্রগতির বিষয়টি জানা গেছে। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বোর্ডসভা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সভা সূত্র জানায়, সভায় এনবিআরের লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট থেকে জানানো হয়, রাজস্ব ভবন-১ নির্মাণকাজের জন্য টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৩টি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার দাখিল করেছে। এখন চলছে টেন্ডার যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। অন্যদিকে কাস্টমস ও ভ্যাটের জন্য নিজস্ব ভবন নির্মাণের বিষয়ে সভায় এনবিআর সদস্য (মূসক নীতি) মো. রেজাউল হাসান জানিয়েছেন, রাজস্ব ভবন-২ উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনার (ডিপিপি) কাজ শুরু করার জন্য প্রকল্প পরিচালককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এনবিআরের মাঠপর্যায়ের অফিস ও দফতর নির্মাণে ডিপিপি প্রস্তুতিতে ভ্যাট অনলাইন কারিগরি সহায়তা প্রদানে আগ্রহী।

সভাশেষে বেশ কিছু সিদ্ধান্তু নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো এনবিআরের জেলা পর্যায়ে নিজস্ব জমি থাকলে সে ভূমিতে ভবন নির্মাণের জন্য প্রজেক্ট গ্রহণ করতে হবে। যে জেলায় কর ও ভ্যাট অফিস নাই তা চিহ্নিত করে সমন্বিত প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে ভ্যাট অনলাইন সহায়তা করবে। আর যেসব জেলা পর্যায়ে অফিস নির্মাণের জন্য ডিপিপি প্রস্তুত করা হয়েছে তা অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে প্রেরণ করতে হবে। অন্যদিকে রাজস্ব ভবন-২ নির্মাণে কাজ শুরু করার জন্য প্রকল্প পরিচালককে পত্র দিতে হবে।

এরই মধ্যে কর সেবা করদাতাদের পৌঁছে দিতে আরো নতুন ১২টি কর অঞ্চল স্থাপন করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৩১টি কর অঞ্চলের অধীনে ৬৪৯টি সার্কেল অফিস কর সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।

এনবিআর সূত্র বলছে, বর্তমানে রাজধানী ছাড়াও জেলা শহর, গ্রাম এলাকায় গড়ে উঠছে কল-কারখানা। অর্থনৈতিক সমতায় শহর আর গ্রামের দূরত্ব কমে আসছে। রাজস্ব আয়ে জেলাসমূহ দিন দিন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হয়ে উঠছে। তাই নতুন, জন এবং রাজস্ববান্ধব এনবিআর গঠন ও রূপকল্প বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলায় করজাল বিস্তার করছে এনবিআর।

তবে জেলা, উপজেলায় করের নিজস্ব ভবন ও জনবল কম থাকায় বিস্তারের গতি অনেকটাই মন্থর হয়ে রয়েছে। তাই জেলা, উপজেলায় করজাল বিস্তারে করদাতা এবং সম্ভাবনাময় রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে জরিপের ওপর জোর দিয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় প্রযুক্তিসংবলিত আধুনিক নিজস্ব কর ভবন নির্মাণে সিদ্ধান্ত নেয়।

এনবিআরের জন্য তার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এনবিআরের বর্তমান কাঠামোতে এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ অসম্ভব। আর এজন্যই কর অফিস আরো সম্প্রসারণের পথে হাঁটছে এনবিআর।