সহজ ভ্যাট ব্যবস্থাপনা-আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চান ব্যবসায়ীরাকরমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না, সুবিধা হারাতে পারে বড় রপ্তানি খাতমাইক্রোবাসে শুল্ক প্রত্যাহার দাবিমার্কিন শেয়ারবাজারে ধস, ডলারের দাম সর্বনিম্ন ২০২৩ সালে দেশের রাজস্ব ক্ষতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা
No icon

মাইক্রোবাসে শুল্ক প্রত্যাহার দাবি

ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ও বিক্রি কমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে শুল্ক-কর কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। এ ছাড়া গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসে সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। বাজেট সামনে রেখে গতকাল শনিবার রাজধানীর বিজয়নগর ফার্স হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বারভিডার সভাপতি আবদুল হক সংগঠনের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। এ সময় সংগঠনের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বারভিডা সভাপতি বলেন, রিকন্ডিশন্ড মোটরযান আমদানিতে ন্যূনতম ১২৯ শতাংশ, সর্বোচ্চ ৮২৬ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে। মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক ও অ্যাম্বুলেন্স আমদানির ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং পিকআপ বা ভ্যানের শুল্ক-কর সর্বনিম্ন স্তরে নির্ধারণ করা উচিত। ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে মানসম্পন্ন গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ১৬ থেকে ৪০ আসনের বাস আমদানিতে শুল্ক-কর কমাতে হবে। হাইব্রিড গাড়ির সিসি স্ল্যাব ও সম্পূরক শুল্কহার পুনর্বিন্যাস করা হলে এসব গাড়ি আমদানি সহজ হবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে বলে মনে করে বারভিডা। তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে দেশে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। মোটরযানে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমে আসবে। ফলে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইদানীং নিম্নমানের বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানি হচ্ছে। তাই দেশে বৈদ্যুতিক, হাইব্রিড, প্লাগ-ইন হাইব্রিড এবং হাইড্রোজেন গাড়ি আমদানি ও ব্যবহার বিষয়ে নীতিমালা দরকার।

বারভিডা সভাপতি জানান, বিআরটিএর নিবন্ধন খরচ নতুনের চেয়ে রিকন্ডিশন্ড গাড়িতে অনেক বেশি। দেড় হাজার সিসির গাড়ি নিবন্ধন, মালিকানা বদল ও ভ্যাট মিলিয়ে নতুন গাড়িতে খরচ পড়ে ৮০ হাজার টাকা। পুরোনো গাড়িতে এ খরচ হয় ১ লাখ ৭ হাজার টাকা। এ ছাড়া রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বিক্রির সময় দ্বৈত নিবন্ধন করতে হয়। বৈষম্যমূলক এসব সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান তিনি।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের যেসব ঘটনা ঘটছে, সেগুলোকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে আবদুল হক বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা পরিবেশের জন্য হুমকি ও দেশের জন্য ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে। গাড়ি এখন আর বিলাসিতা নয়। নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন। গাড়ির ব্যবহার বাড়লে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে যাবে।