কর আদায়ে বাংলাদেশের সাফল্য ভালো নয়। প্রতিবছর শুল্ক-কর আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু অর্থনীতির আকার আরও বেশি গতিতে বেড়েছে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দৌড়াতে পারছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। দেশের
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমার সময় এবার ঢালাওভাবে বাড়ানো হবে না। যাঁরা নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন না, তাঁরা আইনানুযায়ী সময়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন।বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে করোনার কারণে রিটার্ন
অডিট রিপোর্ট জালিয়াতির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ১২ হাজার ১৮৭ কোম্পানি কর ফাঁকি দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ব্যাংক ঋণের জন্য আর্থিক বিবরণী সম্পদ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছে। আবার কর ফাঁকি দিতে এসব প্রতিষ্ঠান অডিট রিপোর্টে মুনাফা কম দেখায়। জাতীয়
কর মেলার জন্য সাধারণ করদাতারা অপেক্ষা করে থাকেন। কারণ, কর মেলায় গিয়ে ঝক্কিঝামেলা ছাড়াই অনেকটা নির্বিঘ্নে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার পাশাপাশি কর পরিশোধ করতে পারেন। গত ১০ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত কর মেলা
শুধু করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নেয়ার পর প্রথমবার অনলাইনে রিটার্ন জমা দিলে কর রেয়াত পাওয়া যাবে। পুরনো করদাতারা আগে ম্যানুয়ালি বা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিলেও এ ছাড় পাবেন না। মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তাদের
সরকারের খাতায় নিবন্ধিত ৯৮ হাজার বেসরকারি কোম্পানির কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন নেই। কোম্পানি হিসেবে তারা করও দেয় না। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের এক অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এই অনিয়ম রোধে গতকাল
দেশের সব উপজেলায় আয়কর অফিস স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, একবারের বেশি কোনও ব্যক্তিকে টিআইএন নম্বর দেওয়া হবে না। সোমবার (১৭ আগস্ট) আয়কর বিভাগের রাজস্ব আদায়ের অগ্রগতি
মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধি করে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি করহার হ্রাস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সোমবার (১৭ আগস্ট) চলতি ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের রাজস্ব