
যুক্তরাষ্ট্রে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ হলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রতি মাসে গড়ে অতিরিক্ত ২৫ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী বাড়তি শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকদের পরিশোধ করার কথা থাকলেও তারা রপ্তানিকারকদের দায় নিতে বলবেন। এর প্রভাবে ছোট মাঝারি মানের অনেক কারখানা ক্ষতির মুখে পড়বে। এ পরিস্থিতিতে পড়ার আগেই মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট সম্মিলিত পরিষদের নেতারা। বিজিএমইএ নির্বাচন সামনে রেখে শনিবার রাজধানীর উত্তরার জায়ান্ট বিজনেস টাওয়ারে সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্যানেল লিডার মো. আবুল কালাম বলেন, ৯০ দিনের সময়সীমা শেষে বাংলাদেশের পণ্য ৩৭ শতাংশ শুল্কের মুখ পড়লে তা পরিশোধে ক্রেতারা রপ্তানিকারকদের ওপর চাপ দেবেন। এমন পরিস্থিতিতে এক হাজারের মতো কারখানার পক্ষে টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে। প্রধান সমন্বয়ক ফারুক হাসান এলডিসি উত্তরণের সময়সীমা অন্তত তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। পরিষদের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান আগামী মাসে বিজিএমইএ নির্বাচনে জয়লাভ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা জয়নাল আবদিন ফারুক, বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পাভেল, বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য আসিফ আশরাফ এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইয়ুথ লিডারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবরার হোসেন সায়েম।