
একীভূত হতে যাওয়া একটি ব্যাংকে আজবাহার শেখের (ছদ্মনাম) ৯ লাখ টাকার আমানত রয়েছে। নানা উপায়ে চেষ্টা করেও তিনি টাকা তুলতে পারছেন না। শাখা ম্যানেজারের পরামর্শে তিনি এখন ওই টাকা ভেঙে পাঁচজনের নামে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা করে আলাদা সঞ্চয় করেছেন। এতে করে এখন পাঁচটি হিসাব হয়েছে। আমানত বীমা সুরক্ষা তহবিল থেকে তাঁর পুরো ৯ লাখ টাকা নিকট মেয়াদে ফিরে পাওয়ার আশা তৈরি হয়েছে। একক নামে থাকলে যেখানে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পাবেন।
জানা গেছে, একীভূত হতে যাওয়া এক্সিম, সোস্যাল ইমলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বীমা সুরক্ষা পাবেন। এই সুবিধা নিতেই একাধিক নামে আমানত হিসাব খুলে দুই লাখের নিচে রাখা হচ্ছে। এতে করে আমানত হিসাবের সংখ্যা বাড়ছে। এরকম তথ্য পাওয়ার পর গত রোববার ব্যাংকগুলোর এমডিকে ডেকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকটি টিম এসব ব্যাংক পরিদর্শনে নামছে। আমানত ভেঙে এভাবে খণ্ড-খণ্ড করার সঙ্গে জড়িত শাখা কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করা হবে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান কার্যালয়ের কারও নির্দেশনায় এটি করা হচ্ছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে।