চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস, জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধই ছিল বলা চলে। সাধারণ ছুটির পাশাপাশি কারফিউও ছিল বেশ কয়েক দিন। এসবের প্রভাব পড়েছে শুল্ক-কর আদায়ে। এ দুই মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক-কর আদায়ে প্রবৃদ্ধি তো হয়ইনি, বরং আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা কম আয় হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ঘাটতি অবশ্য আরও তিন গুণ বেশি; অর্থাৎ ১৫ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সফররত প্রতিনিধিরা রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এনবিআরের পক্ষ থেকে আইএমএফকে তাদের দেওয়া চলতি অর্থবছরের শুল্ক-কর আদায়ের লক্ষ্য কমানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। কারণ হিসেবে এনবিআর দেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ধীরগতির কথা উল্লেখ করেছে। গত বৃহস্পতিবার এ বৈঠক হয়।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ প্রথম আলোকে বলেন, অর্থবছরের প্রথম দিকে এমনিতেই রাজস্ব আদায় কম হয়। কিন্তু এবার ভিন্ন পরিস্থিতি ছিল। জুলাই-আগস্টে ছাত্র–জনতার আন্দোলন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল। অফিস–আদালত, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়নি। এসব কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব আদায় হয়নি।