ইআরডি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী বাড়ছে দেশি-বিদেশি ঋণের ঝুঁকিজুন নাগাদ আয়কর রিটার্ন ৪৫ লাখে উন্নীত হবেউল্কা গেমসের কর ফাঁকির ৫০ কোটি টাকা আদায়ে ব্র্যাক ব্যাংকে এনবিআরবাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেই
No icon

ঋণ নবায়নে ছাড়ের মেয়াদ আবার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহকের মান যাচাই করে করে ঋণ দেওয়া ও ঋণ নবায়নে ছাড়ের মেয়াদ আবার বাড়িয়েছে। ফলে কেউ আইন অনুযায়ী ঋণ পাওয়ার শর্ত পূরণ না করলেও তাঁকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। পাশাপাশি তাঁদের ঋণও নবায়ন করা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বুধবার এ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দেশব্যাপী ব্যবসায়িক কার্যক্রম গতিশীল রাখার লক্ষ্যে ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের বিদ্যমান আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ঋণ সুবিধা প্রদানসহ বিদ্যমান ঋণ নবায়ন অব্যাহত রাখার জন্য আগের নির্দেশনার সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।’  

২০১৮ সালে জারি করা ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং (আইসিসিআরআর) নীতিমালা অনুযায়ী, একজন গ্রাহকের পরিমাণগত সক্ষমতায় ৬০ শতাংশ নম্বর এবং গুণগত সক্ষমতায় ৪০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। পরিমাণগত সক্ষমতা সূচকে ৬০ নম্বরের মধ্যে মোট গৃহীত ঋণ ও আর্থিক সক্ষমতায় ১০, চলতি দায় ও তরল সম্পদে ১০, মুনাফার সক্ষমতায় ১০, সুদ পরিশোধের সক্ষমতা ও নগদ প্রবাহের ওপর ১৫, পরিচালনগত দক্ষতায় ১০ এবং ব্যবসার মানের ওপর ৫ নম্বর থাকতে হবে। 

এই রেটিংয়ে কোনো গ্রাহক ৮০ নম্বরের বেশি পেলে তাঁকে ‘চমৎকার’, ৭০ নম্বরের বেশি ও ৮০ নম্বরের কম পেলে ‘ভালো’, ৬০-এর বেশি ও ৭০ নম্বরের কম পেলে ‘প্রান্তিক’ এবং ৬০-এর নিচে নম্বর পেলে ‘অগ্রহণযোগ্য’ রেটিং দেওয়া হবে। তবে কোনো গ্রাহক গুণগত রেটিংয়ে যত নম্বরই পান না কেন, পরিমাণগত রেটিংয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর না পেলে তাঁকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ রেটিং দেওয়া হবে। 

এ ক্ষেত্রটি শিথিল করেই গ্রাহকদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার ক্ষতিতে পড়ার কারণে রেটিংয়ের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালেও ব্যবসা অব্যাহত রাখার কারণ দেখিয়ে ছাড় দেওয়া হয়। এবার অবশ্য ব্যবসা গতিশীল রাখার যুক্তি দেখানো হয়েছে। 

 বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, নানা কারণে গ্রাহকদের আর্থিক প্রতিবেদন খারাপ হয়ে পড়েছে। এতে অনেকেই ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাঁদের ব্যবসা তো বন্ধ করে দেওয়া যায় না। এ কারণে বড় গ্রাহকদের চাপে বারবার এই ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এভাবে ছাড় দিয়ে নিয়মের মধ্যে ঋণ বিতরণ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।