বাড়বে ভ্যাট, বাড়তি দামের চাপে ভুগতে হবে ভোক্তাদের। অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ দাম বাড়াচ্ছে পাইপেরমেট্রোরেলের ভাড়ায় বসছে ১৫% ভ্যাটকৃষি ও নিত্যপণ্যে শুল্ক না বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকরছাড় কমাতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
No icon

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ

চলতি বছরের মার্চে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি বেড়ে ১০.৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারিতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৯৬ শতাংশ; যা মার্চে ফেব্রুয়ারির তুলনায় ০.৫৩ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে। এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ১০ শতাংশ। তবে প্রথম দুই মাস লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকলেও মার্চে ঋণের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার বেশি হয়েছে। রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমদানি ও ব্যাবসায়িক লেনদেন বেড়ে যাওয়ায় বেসরকারি ঋণ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। ব্যাংকাররা বলেন, মার্চে রমজানের কারণে খাদ্যপণ্য আমদানি বেড়েছে। এছাড়া রমজানের ঈদকে সামনে রেখে গ্রাহক পর্যায়ে ভোক্তা ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। সর্বোপরি এসব কারণে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়েছে।

তবে ঈদকেন্দ্রিক ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়লেও পরে এপ্রিলে এসে কিছুটা কমেছে। কারণ এখন দেশের অর্থনীতি ও বৈশ্বিক বাজারে মন্থরগতি চলছে, এ কারণে ব্যবসায়ীরা নতুন করে ব্যবসা সম্প্রসারণ কম করছেন। তারা বলেন, ঋণের সুদহার গত জুলাই থেকে ৯ টাকা থেকে প্রতি মাসে প্রায় এক টাকা করে বেড়ে এখন প্রায় ১৪ টাকা হয়েছে। সুদহার বেড়ে যাওয়ার কারণে, এছাড়া ঘোষিত ডলারের রেটের তুলনায় আমদানি নিষ্পত্তির রেট বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা আমদানি কম করছেন, যার কারণে গত কয়েক মাসে বেসরকারি ঋণ বেশি ছিল। ২০২৩ সালের মার্চে আমদানি এলসি খোলার পরিমাণ ছয় বিলিয়ন ডলারের কম হয়েছে। গত এক বছরে কেবল তিন বার আমদানি এলসি ছয় বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

একটি বেসরকারি ব্যাংকের এক জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ডলারসংকট অব্যাহত থাকলেও সম্প্রতি পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রপ্তানির পরিমাণ মাসে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে এবং রেমিট্যান্স প্রবাহও শক্তিশালী হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংকিং খাতে ডলারের তারল্য পরিস্থিতিরও উন্নতি হয়েছে। ফলে আগে

যেসব পণ্যের এলসি খোলা হচ্ছিল না, ব্যাংকগুলো এখন সেসব পণ্যের আমদানি এলসি খোলার বিষয়ও বিবেচনা করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২.৬২ শতাংশ। এরপর থেকে টানা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে। তবে অক্টোবরে কিছুটা বেড়ে ১০.০৯ শতাংশ হয়েছিল; এরপর ফের নভেম্বরে কমে যায়। যদিও ডিসেম্বরে নভেম্বরের তুলনায় মার্জিনাল গ্রোথ হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রার কম প্রবৃদ্ধি ছিল। মার্চে এসে তা বেড়েছে। ঋণের সুদহার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ও কন্ট্রাকশনারি মনিটরি পলিসির প্রভাবে এমনটি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। চলমান মুদ্রানীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব ধরনের অর্থ সরবরাহ বা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে। বেসরকারি খাতের ঋণ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা জুনের জন্য কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১১ শতাংশ। এছাড়া, সর্বোপরি অর্থ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯.৭ শতাংশ করা হয়েছে।