উল্কা গেমসের কর ফাঁকির ৫০ কোটি টাকা আদায়ে ব্র্যাক ব্যাংকে এনবিআরবাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবে
No icon

বড় করদাতারাই যখন ভরসা

অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায় নিয়ে সরকার যেমন দুশ্চিন্তায়, তেমনি অর্থনীতিবিদেরাও। এই করোনাকালে যখন অর্থনীতির চাকা প্রায় বন্ধ ছিল কয়েক মাস, ঠিক সে সময়েই বড় করদাতাদের আয়করের প্রবৃদ্ধি লক্ষণীয়। স্বাভাবিক প্রশ্ন, কীভাবে হলো এই প্রবৃদ্ধি? এতে কি কোনো শুভংকরের ফাঁকি আছে, নাকি আছে কোনো জাদু? বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আয় কি সত্যি বেড়েছে? নয়তো করপোরেট আয়করের প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের ওপর বেড়েছে কী করে? একটু খতিয়ে দেখা যাক।

আয়কর আইন অনুযায়ী লাভ ক্ষতিনির্বিশেষে একটি নির্দিষ্ট হারে কর দিতে হয় করপোরেট করদাতাদের। তাই ব্যবসায়ের লাভ বা ক্ষতির সঙ্গে কর আদায়ের সমীকরণটা সব সময় মিলবে না। অন্যদিকে ১০ জন সেরা করদাতার মধ্যে ৫টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকই আছে লাভের খাতায়। ইসলামী ব্যাংক দেখেছে সর্বোচ্চ আমানতকারীদের ভিড়। সেরা করদাতাদের মধ্যে আরও আছে গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। যাদের এই করোনাকালে ব্যবসা মন্দ যায়নি। সুতরাং আশাবাদী হতে ক্ষতি কি।

তবে বর্তমান করদাতাদের ওপর কেবল ভরসা করে কর আদায়ের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা কতটা যৌক্তিক, তাও ভেবে দেখা দরকার। কেননা, সোনার ডিম পাড়া হাঁসকে মেরে ফেলা নয়, বাঁচিয়ে রাখাই গুরুত্বপূর্ণ।