ইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের
No icon

সুদের হার আরও বাড়বে, কমবে ঋণপ্রবাহ : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

মূল্যস্ফীতি কমানোকে প্রধান অগ্রাধিকার দিয়ে আরও কঠোর মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতিতে গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বর্তমান পর্যায় থেকে কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুদের হার বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাহিদা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমাতে চায়। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে চার ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউ-প্রধানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন। গভর্নরের প্রারম্ভিক বক্তব্য শেষে মুদ্রানীতির ভঙ্গির ওপর উপস্থাপনা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান। এর পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন গভর্নর। ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শিথিলতা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারা, ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট, দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের চলতি হিসাব ও সিআরআর ঘাটতি, ডলারের অভাবে এলসি খুলতে না পারাসহ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন গভর্নর। 

নতুন মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার হিসেবে বিবেচিত রেপোর সুদহার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে। এ নিয়ে টানা ৭ দফায় রেপোর সুদহার ৩২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ল। আর রিভার্স রেপোর (বর্তমানে যা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি) সুদহার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ করেছে। এ ছাড়া স্পেশাল রেপোর (বর্তমানে যা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি) সুদ ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে সাড়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকের তহবিল নেওয়ার খরচ বাড়িয়ে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আগের মুদ্রানীতিতে আগামী জুনে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ধরা হয়েছিল ১১ শতাংশ। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রকৃত বেড়েছে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। নতুন মুদ্রানীতিতে  আগামী জুন নাগাদ ১০ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে। আর সরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন আগের ৩১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭ দশমিক ৮০ শতাংশে নামানো হয়েছে। নিট বৈদেশিক সম্পদ এবং মুদ্রা সরবরাহের প্রাক্কলনও কমানো হয়েছে। তবে কোনোভাবে উৎপাদনশীল খাত যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

 কৃষি, এসএমই, রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য কম সুদে পুনঃঅর্থায়ন দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন হলে এ ধরনের আরও পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হবে।