ইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের
No icon

উচ্চ মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলেছে

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর যখন টানা তৃতীয়বার দায়িত্ব নেয় আওয়ামী লীগ, তখনো উচ্চ প্রবৃদ্ধি ছিল। কিন্তু ব্যাংক খাতের অবস্থা হয়ে পড়ে আরও নাজুক—আর্থিক কেলেঙ্কারিও বেড়ে যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটে, খেলাপি ঋণ ছাড়িয়ে যায় এক লাখ কোটি টাকা। তবে সব সময়কে ছাড়িয়ে গেছে এবার। এখন অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি সূচকই নিম্নমুখী। সংকট সব ক্ষেত্রেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের ভাষায়, অর্থনীতি এখন তলানিতে। সেই তলানি থেকে অর্থনীতিকে তুলে আনাই এখন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আর অর্থনীতি তলানিতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সংকটের পাশাপাশি সরকারের ভুল নীতিও অনেকখানি দায়ী।

সুতরাং টানা চতুর্থ মেয়াদের আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জের তালিকাটাও বেশ দীর্ঘ। প্রথমত, সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকানো ও ডলারের বিনিময় হারকে স্থিতিশীল করা। এগুলো করতে পারলেই বিনিয়োগের পরিবেশ ফিরবে। এরপরের কাজ হচ্ছে অর্থনীতিকে আবার প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরিয়ে আনা। এ জন্য সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশ যে উচ্চ প্রবৃদ্ধির যুগে প্রবেশ করতে পেরেছিল, তার প্রধান কারণ সামষ্টিক অর্থনীতি ছিল স্থিতিশীল। অথচ সেটাই এখন হুমকির মধ্যে। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধ শেষ। বাকি আছে আর ছয় মাস। সরকারের আরেক চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই ছয় মাসের অর্থনীতি মেরামত। গতানুগতিক পথে এই সংকট মিটবে না। তাই অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, আগামী বাজেট পর্যন্ত অর্থনীতির জন্য বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেওয়া প্রয়োজন। আর সেটাই বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন অংশীদারদের কাছে ইতিবাচক বার্তা দেবে।