শত বছরের লেনদেন শেষে বন্ধ হচ্ছে কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ ২৪ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে রেকর্ড রাজস্ব আদায়ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দরপতনের শীর্ষে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ভ্যাট অব্যাহতি দিলেই বেজা থেকে প্লট বুঝে নিতে আগ্রহী বিজিএমইএ
No icon

শেয়ারবাজারে লেনদেনে ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা রাস্তায়

শেয়ারবাজারের অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে আবারও রাস্তায় নেমেছেন একদল বিনিয়োগকারী। আজ সোমবার সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর এসব বিনিয়োগকারী রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ) ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। শেয়ারবাজারে গতকাল রোববার বড় দরপতনের পর এই ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মানববন্ধন পালন করেন। এ সময় তাঁরা দরপতন ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন। 

বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেন, টানা দরপতনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। অথচ পুঁজির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিএসইসি। তাঁরা বলেন, বিনিয়োগকারীরা রাজপথে থাকতে চান না। কিন্তু সরকার এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ‘পতন ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায়’ বাধ্য হয়ে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে এসেছেন।

এদিকে আজ শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬০ পয়েন্টের বেশি কমে যায়। গতকাল সূচকটি প্রায় দেড় শ পয়েন্ট কমে ৫ হাজারের মাইলফলকের নিচে নেমে এসেছিল। তাতে ডিএসইএক্স সূচকটি চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়।বাজার–সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারবাজারে যে দরপতন হচ্ছে, তা অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক। বিনিয়োগকারীদের চরম আস্থাহীনতার কারণে এই দরপতন হচ্ছে। সরকার ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার দিক থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই দরপতন থামছে না।