
খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদীর প্রায় ২২ কোটি টাকার আয়কর ফাঁকি উদঘাটন করেছে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিশেষায়িত এ সংস্থা বলছে, ব্যাংকে রাখা এফডিআরের তথ্য গোপনসহ নানাভাবে কর ফাঁকি দিয়েছেন সালাম মুর্শেদী।আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের কমিশনার মোহাম্মদ আবদুর রকিব বলছেন, অভিযোগ স্বীকার করে তার তরফে ৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি অর্থ পরিশোধে গড়িমসি করায় ব্যাংক হিসাব জব্দের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।রকিব বলেন, উনার (সালাম মুর্শেদী) অনেকগুলো এফডিআর ছিল ব্যাংকে। এফডিআরগুলো আবার ফাইলে (আয়কর নথি) দেখানো ছিল না। তারপরও অন্যান্য বিষয় আছে। আমাদের অনুসন্ধান চলমান আছে।সালাম মুর্শেদী ছাড়াও তার স্ত্রী শারমিন সালাম, ছেলে ইশমাম সালাম ও মেয়ে শেহরিন সালামের আয়কর ফাইল খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট।
সালাম মুর্শেদীর মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয়কর ফাইলও তদন্ত করবে তারা।গত বছর অক্টোবরে আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২২ সালে খুলনার ফুলতলা এলাকায় হামলা, আক্রমণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদী ২০০৮ সাল থেকে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদে ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ওই পদ থেকে তিনি সরে দাঁড়ান।ব্যবসায়ী নেতা সালাম মুর্শেদী বিজিএমইএর সভাপতি, বাফুফের ফাইন্যান্স কমিটি ও রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও ছিলেন।গণআন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপিদের গ্রেপ্তারের মধ্যে সালাম মুর্শেদীও গ্রেপ্তার হন।