ইআরডি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী বাড়ছে দেশি-বিদেশি ঋণের ঝুঁকিজুন নাগাদ আয়কর রিটার্ন ৪৫ লাখে উন্নীত হবেউল্কা গেমসের কর ফাঁকির ৫০ কোটি টাকা আদায়ে ব্র্যাক ব্যাংকে এনবিআরবাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেই
No icon

ধনী দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোই নীতি সুদ বৃদ্ধির হার হ্রাস করেছে

গত সপ্তাহে বিশ্বের প্রায় সব কটি বড় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক ছিল। কী করবে ধনী দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। কিন্তু বৈঠকের আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যত কথা বলেছে, বাস্তবে তেমন কিছু হয়নি। বলা যায়, তারা যতটা গর্জেছে, ততটা বর্ষায়নি। সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকই নীতি সুদ বৃদ্ধির হার হ্রাস করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, মেক্সিকো ও ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদ বৃদ্ধির হার কমিয়েছে। এত দিন তারা শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে নীতি সুদহার বৃদ্ধি করেছে। নতুন করে কমানোর ফলে এবার সেই হার প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্ত কথা বললেও ব্যবস্থা নিয়েছে দুর্বল। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) বলেছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির ধারায় লাগাম টানতে আমাদের আরও কাজ করতে হবে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, আমাদের কাজের পরিধি আরও বাড়াতে হবে। আর ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জোরদার হওয়ার কথা বলেছে।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সমন্বিতভাবে এসব পদক্ষেপ নিতে পারবে না। বরং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো প্রয়োজনে নীতি সুদহার বৃদ্ধির জায়গা রেখে দিয়েছে, যদিও মূল্যস্ফীতি এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে নীতি সুদহার আরও বৃদ্ধি করা রাজনৈতিকভাবে জটিল হতে পারে।

আবার শুধু মূল্যস্ফীতি যে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে তা নয়, একই সঙ্গে নীতি সুদহারও চূড়ান্ত পর্যায়ে উঠেছে ফেডের নীতি সুদহার এখন ৪ দশমিক ২৫ থেকে ৪ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে। এতে দেশে দেশে মন্দার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সে জন্য ফেডারেল রিজার্ভের সাবেক কর্মকর্তা ও মর্গ্যান স্ট্যানলির বৈশ্বিক প্রধান অর্থনীতিবিদ সেথ কারপেন্টার বলেন, এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। তাঁর মতে, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব। সে জন্য তাদের এখন কড়া কড়া কথা বলা ঠিক হবে না।

এদিকে মন্দার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে পরপর দুই সপ্তাহ ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। এর প্রভাব পড়েছে বিশ্বের অন্যান্য শেয়ারবাজারেও। গত সপ্তাহের শেষ লেনদেন দিবস শুক্রবারে মার্কিন শেয়ারবাজারে ডাওজোন্স শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ২৮২ পয়েন্ট, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ১ দশমিক ১১ শতাংশ বা ৪৩ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট ও নাসডাক কম্পোজিট সূচক শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ বা ১০৫ পয়েন্ট কমেছে।

দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস