ইআরডি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী বাড়ছে দেশি-বিদেশি ঋণের ঝুঁকিজুন নাগাদ আয়কর রিটার্ন ৪৫ লাখে উন্নীত হবেউল্কা গেমসের কর ফাঁকির ৫০ কোটি টাকা আদায়ে ব্র্যাক ব্যাংকে এনবিআরবাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেই
No icon

চলিত অর্থ বছরেও হবে না কর মেলা

আগামী ৩০ নভেম্বর জাতীয় আয়কর দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সভা-সেমিনারসহ নানা আয়োজন থাকবে। প্রতিবারের মতো এবারও জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণিতে ১৪১ জন সেরা করদাতাকে কর কার্ড ও সম্মাননা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে কর বিভাগ এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তবে এ বছরও কর মেলা হবে না
সাধারণ করদাতারা নভেম্বর মাস এলেই কর মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। গত দুই বছর করোনার কারণে কর মেলা হয়নি। এবার পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক থাকায় কর মেলায় আয়কর রিটার্ন দেবেন, সেই আশায় বসেছিলেন বহু করদাতা। তবে তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। চলতি বছরও কর মেলা হচ্ছে না।

কর মেলা নিয়ে সাধারণ করদাতাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের কারণ, কর মেলায় কোনো হয়রানি হয় না। তা ছাড়া একই জায়গাতেই রিটার্ন ফরম পূরণ থেকে শুরু করে কর পরিশোধের টাকাও জমা দেওয়া যায়। কর কর্মকর্তারাও মেলায় কর দিতে আসা করদাতাদের বেশ সহযোগিতা করে থাকেন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ বছর কর মেলা হবে না। তার পরিবর্তে কর কার্যালয়ে রিটার্ন দেওয়ার সুবিধা দিতে নভেম্বর মাসজুড়ে সেবা মাস পালন করবে এনবিআর।
এনবিআর সূত্র জানায়, আগামী ১ নভেম্বর দেশের প্রতিটি কর অঞ্চলে করদাতাদের জন্য সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে। সেখানে রিটার্ন জমার পাশাপাশি রিটার্ন ফরম পূরণে সহায়তা দেওয়া হবে। রিটার্ন জমার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও পাবেন করদাতারা। এ ছাড়া ই-রিটার্ন জমা দিতে আগ্রহী করদাতাদের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। রাজধানীর অফিসার্স ক্লাব ও সচিবালয়ে রিটার্ন নেওয়ার বুথ স্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।

২০১০ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকা ও চট্টগ্রামে আয়কর মেলার আয়োজন করা হয়। এরপরে ১০ বছরে পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়। বিভাগীয় শহর, জেলা সদর ও উপজেলা পর্যায়েও কর মেলা অনুষ্ঠিত হতো। সেখানে করদাতাদের আগ্রহ নিয়ে রিটার্ন জমা দিতে দেখা যায়। সব শেষ আয়োজিত দুই-তিনটি কর মেলায় ১০ লাখের মতো করদাতা রিটার্ন দেন।

এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৩ লাখ ৩০ হাজার করদাতা রিটার্ন জমা দিয়েছেন। বর্তমানে ৭৯ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। তাঁদের সবার রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক।

 

<