কর প্রশাসন আধুনিকায়নে এডিবির আরও সম্পৃক্ততা চান অর্থ উপদেষ্টাচট্টগ্রাম বন্দরে টার্মিনাল নির্মাণে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ডেনমার্কঅনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা ১৬ লাখ ছাড়ালএকনেকে ৩৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদনঅনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলে নতুন রেকর্ড
No icon

অশুল্ক বাধা দূর করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হবে

আগামী বাজেটে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি বাড়াতে অশুল্ক বাধা কমিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য হলো ব্যবসাকে সহজ ও গতিশীল করা।মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নের দিকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছি। অশুল্ক বাধা ও কর কাঠামোর জটিলতা কমিয়ে ব্যবসা পরিচালনাকে সহজ করার জন্য কাজ করছি।বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অন্তর্বর্তী কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, শুধু দেশের নয়, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকেও বিবেচনায় নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি উদাহরণ টেনে বলেন, বিশ্বায়নের পথে এটি একটি বড় বাধা তৈরি করেছে, যার প্রভাব পড়তে পারে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বড় ধরনের সংঘাত বা বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।তার মতে, কেবল আমেরিকা থেকে আমদানি বাড়িয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, বরং একটি ব্যাপক পরিসরের গবেষণা প্রয়োজন।আলোচনায় বিজিএমইএসহ পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা করপোরেট করের হার ১২ শতাংশে বহাল রাখার দাবি জানান।তারা বলেন, সরকার ইতোমধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এখন কর বাড়ানো হলে শিল্প খাত চাপে পড়বে। আগামী কয়েক বছর হ্রাসকৃত কর সুবিধা অব্যাহত রাখতে হবে।

এ প্রস্তাবের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, পোশাক খাত অনেকদিন ধরেই কর ছাড় সুবিধা পাচ্ছে। আমাদের ভাবতে হবে—আর কতদিন? সময় এসেছে একটি সমান কর কাঠামোর দিকে যাওয়ার।তিনি আরও বলেন, তামাক ও টেলিকম খাতে কর হার বেশি, কিছু খাতে কম, আবার কোথাও কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই বৈষম্য কমিয়ে এনে একক কাঠামোতে ফিরতে হবে। রাজস্ব আয় বাড়াতে কর অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে।আলোচনায় অংশ নেয় বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই), এসএমই ফাউন্ডেশন, এসএমএসি ও পিডব্লিউসি।