বাধ্যতামূলক অবসর এনবিআরের দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে কিছু চীনা পণ্যে সর্বোচ্চ ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্রভোজ্যতেল আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর অব্যাহতিইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক১৭ হাজার কোটি টাকার শেয়ার জব্দ করা হয়েছে
No icon

চলতি অর্থবছরের বাণিজ্য ঘাটতি ২ হাজার কোটি ডলার

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যানে রপ্তানির পরিমাণ বেশি দেখানোর ফলে চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত বাণিজ্য ঘাটতি কম ছিল। তবে গত এপ্রিল থেকে রপ্তানির প্রকৃত তথ্য ধরে বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের (বিওপি) তথ্য প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মে মাসের পরিসংখ্যানও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। গত মার্চ পর্যন্ত বাণিজ্য ঘাটতি দেখানো হয় মাত্র ৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার।

গত এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ইপিবির পরিসংখ্যানে প্রায় ১৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি বেশি দেখানো হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এ পরিসংখ্যান সংশোধন করলে বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের সব হিসাব পাল্টে দেয়। পরের মাসেও ইপিবির রপ্তানি তথ্য সংশোধন হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত লেনদেন ভারসাম্যের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত মে পর্যন্ত আসলে রপ্তানি হয়েছে ৩৭ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ কম। অথচ ইপিবি দেখিয়েছিল ৫১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ইপিবির হিসাবে রপ্তানিতে ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল। এর আগে গত এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ইপিবি রপ্তানি দেখিয়েছিল ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলার বা ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি। অথচ রপ্তানি হয় ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের পণ্য।  

প্রকৃত তথ্যের ভিত্তিতে হিসাব করার ফলে মে মাস শেষে দেশের চলতি হিসাবে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। গত মার্চ পর্যন্ত যেখানে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত দেখানো হয় ৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি তথ্য সংশোধনের কারণে এপ্রিলে এসে চলতি হিসাবে ঘাটতি হয় ৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আবার আর্থিক হিসাবে মার্চ পর্যন্ত ৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি দেখানো হলেও মে মাসে ২ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলারের উদ্বৃত্ত হয়েছে। অবশ্য সামগ্রিক ঘাটতির হিসাবে তেমন কোনো হেরফের হয়নি। গত মে শেষে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে সামগ্রিক ঘাটতি ৫ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। এপ্রিল শেষে যা ছিল ৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের হিসাব করার সময় রপ্তানি তথ্য নেওয়া হয় ইপিবি থেকে। আর মূল্য প্রত্যাবাসনের তথ্য ব্যাংক থেকে নেওয়া হয়। রপ্তানির জন্য পণ্য জাহাজীকরণ এবং মূল্য প্রত্যাবাসনের পার্থক্য ‘ট্রেড ক্রেডিট’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মার্চ পর্যন্ত রপ্তানির তথ্যে বড় গরমিলের কারণে ট্রেড ক্রেডিট বা বাণিজ্যিক ঋণের অনেক বড় অঙ্ক দেখাচ্ছিল। এখানে সংশোধনের কারণে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি থেকে এখন উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে।