বাড়বে ভ্যাট, বাড়তি দামের চাপে ভুগতে হবে ভোক্তাদের। অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ দাম বাড়াচ্ছে পাইপেরমেট্রোরেলের ভাড়ায় বসছে ১৫% ভ্যাটকৃষি ও নিত্যপণ্যে শুল্ক না বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকরছাড় কমাতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
No icon

বেসিক ব্যাংকের লোকসান ৪,২৩০ কোটি টাকা

বেসিক ব্যাংক ছোট আকারের ব্যাংক হলেও বছরে কমবেশি ৫০ কোটি টাকার মুনাফা করে আসছিল। আবদুল হাই চেয়ারম্যান হওয়ার পর নামে-বেনামে ঋণ দেওয়া শুরু হলে ২০১১ সালে হঠাৎ ব্যাংকের মুনাফা বেড়ে হয় ৯৭ কোটি টাকা। এর কারণ হিসেবে সূত্রগুলো বলছে, যাঁরা ঋণ নিয়েছিলেন, তাঁরা নিজেদের ভালো দেখাতে প্রথম দিকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেন। তবে পরের বছর ২০১২ সালেই ব্যাংকের মুনাফা কমে হয় ২ কোটি টাকা। এরপর ২০১৩-২২ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটির লোকসান হয় ৪ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। বেসিক ব্যাংক ২০২২ সালে পরিচালন লোকসান করে ১০৯ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৩৮৬ কোটি টাকা। ব্যাংকটিতে সবচেয়ে বেশি লোকসান হয়েছে ২০১৬ সালে। সে বছর লোকসানের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। শেখ আবদুল হাই বেসিক ব্যাংক ছেড়ে যাওয়ার ১০ বছর পার হলেও এখনো ব্যাংকটি আর্থিক সংকটে ধুঁকছে। কারণ, তাঁর সময়ে উচ্চ সুদে আমানত এনে কাগুজে কোম্পানির হাতে টাকা তুলে দেওয়া হয়, যে ঋণের অর্থ এখন ফেরত পাচ্ছে না ব্যাংকটি। অন্যদিকে আমানতের বিপরীতে ঠিকই সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে।

পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা জানতে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করেও বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুর রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি তিনি  বলেছিলেন, উচ্চ আমানতের কারণে ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতি ঠিক করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার খেলাপি হওয়া ঋণও চাহিদামতো আদায় হচ্ছে না। ব্যাংকিং ব্যবসা চালাতে হলে আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণ—দুটি চলমান রাখতে হবে। সরকারি উদ্যোগে কম সুদে আমানত পেলে ব্যাংকটিকে আগের অবস্থানে নেওয়া যেত। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বেসিক ব্যাংকের পক্ষে আর কখনো নিজের পায়ে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক  বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বেসিক ব্যাংককে শেষ করে দিয়েছে। এতে সঙ্গ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্য সরকারি সংস্থাগুলো। এখন এই ব্যাংককে একীভূত করা ছাড়া পথ নেই। তবে বেসরকারি সিটি ব্যাংক নয়, যেকোনো সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিককে একীভূত করা উচিত।