দশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের

আয়কর কি ?

আয়কর রিটার্ন কি?

আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকটএকজন করদাতার বার্ষিক আয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে আয়কর রিটার্ন। আয়কর রিটার্ন ফরম এর কাঠামো আয়কর বিধি দ্বারা নির্দিষ্ট করা আছে। আয়কর আইন অনুযায়ীজাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃকনির্ধারিত ফরমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়।

আয়কর রিটার্ন কারা দেবেন

কোন ব্যক্তি-করদাতার (individual) আয় যদি বছরে ২,৫০,০০০/- টাকার বেশি হয় তবে তাকে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। মহিলা এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে ৩,০০,০০০/- টাকার বেশি, প্রতিবন্ধী করদাতার আয় যদি বছরে ৩,৭৫,০০০/- টাকার বেশি এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতারয় আ যদি বছরে ৪,২৫,০০০/- টাকার বেশি হয় তাহলে তাঁকে রিটার্নদাখিল করতে হবে। তবে আয়ের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, নীচের তালিকা অনুযায়ী কতিপয় ব্যক্তির ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক:

(১)আয় বছরে করযোগ্য আয় থাকলে;

(২)আয় বছরের পূর্ববর্তী তিন বছরের যে কোন বছর করযোগ্য আয় নিরূপিত হলে

(৩)সিটি কর্পোরেশন অথবা বিভাগীয় ও জেলা শহরের পৌরসভায় বসবাসকারীগণঃ

ক)একটি গাড়ীর মালিক হলে

খ)মূল্য সংযোজন কর আইনে নিবন্ধিত কোনক্লাবের সদস্য হলে

(৪)সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ট্রেড লাইসেন্স এবং ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থাকলে;

(৫)ডাক্তার,দন্ত চিকিৎসক,আইনজীবী, আয়কর পেশাজীবী, চার্টার্ড এ্যাকাউন্টেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট এ্যাকাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার অথবা সমজাতীয় পেশায় নিয়োজিত সকল ব্যক্তিবর্গ

(৬)চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অথবা কোন ট্রেড এসোসিয়েশনের সকল সদস্য

(৭)পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন অথবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল পদপ্রার্থী

(৮) সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ঠিকাদারী কাজের টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী সকল ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান

রিটার্ন ফরম কোথায় পাওয়া যায়

সকল আয়কর অফিসে আয়কর রিটার্ন ফরম পাওয়া যায়। একজন করদাতা সারা বছর বিনামূল্যেআয়কর অফিস থেকে রিটার্ন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন। জাতীয় রাজস্ব

বোর্ডের ওয়েব সাইট www.nbr.gov.bd থেকেও রিটার্ন ফরম download করা যায় এবং এর ফটোকপিও গ্রহণযোগ্য।

রিটার্ন দাখিলের সময়

কোম্পানী ব্যতীত অন্যান্য সকল শ্রেণীর করদাতার ক্ষেত্রে প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর এই ৩ মাস সময়সীমার মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব না হলে একজন করদাতা রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করেউপ কর কমিশনারের কাছে সময়ের আবেদন করতে পারেন। সময় মঞ্জুর হলে বর্ধিত সময়ের মধ্যেসাধারণ অথবা সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতির আওতায় রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব।

রিটার্ন কোথায় দাখিল করতে হবে

প্রত্যেক শ্রেণীর করদাতার রিটার্ন দাখিলের জন্য আয়কর সার্কেল নির্দিষ্ট করা আছে। যেমনঃ A, B এবংC অক্ষরগুলো দিয়ে ঢাকা সিভিল জেলায় অবস্থিত যে সকল বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারী ও পেনশনভুক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীর নাম শুরু হয়েছে তাদেরকে কর অঞ্চল-৪, ঢাকা এর কর সার্কেল-৭১ এ রিটার্ন জমা দিতে হবে। পুরোনো করদাতারা তাদের বর্তমান সার্কেলে রিটার্ন জমা দেবেন। নতুন করদাতারা তাদের নাম, চাকুরীস্থল বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানার ভিত্তিতে নির্ধারিত সার্কেলে১২ সংখ্যার টিআইএন (e-TIN) উল্লেখ করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন। করদাতারা প্রয়োজনে কাছাকাছি আয়কর অফিস বা কর পরামর্শ কেন্দ্র থেকে আয়কর রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সার্কেল অফিস সম্পর্কে জানতে পারবেন।

প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত আয়কর মেলায় করদাতাগণ আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। রিটার্ন দাখিলের সময় করদাতা বিদেশে অবস্থান করলে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও রিটার্ন দাখিল করা যায়।

রিটার্ন দাখিল না করলে কি হয়

সময়মত আয়কর রিটার্ন দাখিল না করলে জরিমানা আরোপের বিধান আছে। এ বিধান অনুসারে আয়কর অধ্যাদেশের ৭৫ ধারানুসারে নির্ধারিত/বর্ধিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থতাজনিত কারনে সর্বশেষ নিরুপিত আয়ের উপর প্রদেয় করের ১০% অথবা কমপক্ষে ১০০০/- টাকা এককালীন জরিমানা আরোপের এবং পরবর্তী প্রতি দিবসের জন্য ৫০/- টাকা হারে জরিমানা আরোপের বিধান আছে। অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে কোন ব্যক্তি-করদাতার উপর আয়কর অধ্যাদেশের ১২৪ ধারায় আরোপযোগ্য জরিমানার সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। এরূপ জরিমানার সর্বোচ্চ পরিমাণ হবে ইতোপূর্বে করারোপিত হয়েছেন এমন কানে পুরোনো ব্যক্তি-করদাতার ক্ষেত্রে তার সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের উপর ধার্যকৃত করের ৫০% অথবা ১,০০০/- টাকা, দুটির মধ্যে যেটি বেশি।অপরদিকে, কোন নতুন ব্যক্তি-করদাতার ক্ষেত্রে আরোপযোগ্য মোট জরিমানার পরিমাণ ৫,০০০/- টাকার বেশি হবে না।

আয়কর রিটার্নের প্রকারভেদ

ব্যক্তি-করদাতা ও কোম্পানী করদাতাদের জন্য পৃক পৃথকরিটার্ন ফরম চালু আছে। যথাঃ-

ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতার জন্য রিটার্ন ফরমঃ

  • আইটি-১১গঃ এ ফরম বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় চালু আছে । সকল ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতা এ ফরমটি ব্যবহার করতে পারবেন।
  • আইটি-১১ঙঃ এ ফরম কেবল বেতনভুককরদাতাদের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে ।
  • আইটি-১১চ : যে সকল ব্যক্তি-করদাতার ব্যবসা বা পেশাখাতে আয় রয়েছে এবং এরূপ আয়ের পরিমাণ ৩ লক্ষ টাকার বেশী নয় সে সকল করদাতার জন্য এই আয়কর রিটার্ন ফরম প্রণয়ন করা হয়েছে ।

স্পট এ্যাসেসমেন্ট এর আওতাধীন করদাতাদের জন্য ভিন্ন রিটার্ন ফরমঃ রিটার্ন ফরমটি (IT-11GAGA)কেবলমাত্র পট এ্যাসেসমেন্ট এর আওতাধীন ব্যবসা এবং ডাক্তার ও আইন পেশায় নিয়োজিত নতুন করদাতাদের জন্য প্রযোজ্য । ব্যবসার ক্ষেত্রে যাদের ব্যবসার পুঁজি সর্বোচ্চ১৫ লক্ষ টাকা এবং ডাক্তার বা আইনজীবী যারা অনধিক ১০ বছর তাদের পেশায় নিয়োজিত আছেন তারা দুই পৃষ্ঠার ফরমটিস্পট এ্যাসেসমেন্টের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন;

কোম্পানি করদাতার জন্য রিটার্ন ফরমঃ ইংরেজী ভাষায় এ ফরমটি (IT-11GHA) চালু আছে।

রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতি

বর্তমানে রিটার্ন দাখিলের জন্য দু’টি পদ্ধতি প্রচলিত আছে- সাধারণ পদ্ধতি ও সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি। নীচে পদ্ধতি দুটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ-

সাধারণ পদ্ধতিঃ

রিটার্নে সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি উল্লেখ করা না হলে রিটার্নটি সাধারণ পদ্ধতির আওতায় দাখিলকৃত বলে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে রিটার্নে প্রদর্শিত আয়ের সমর্থনে যথোপযুক্ত তথ্যও প্রমাণাদি না থাকলে করদাতার শুনানী গ্রহণপূর্বক মামলা নিস্পত্তির বিধান রয়েছে।

সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিঃ

করদাতা তার নিজের আয় নিজে নিরূপন করে প্রযোজ্য আয়কর পরিশোধ করবেন এটি বিশ্বব্যাপী একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে করদাতার রিটার্ন দাখিলকালে বিনা প্রশ্নে আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃকরিটার্নটি গৃহীত হয়। রিটার্ন দাখিলের পর উপ কর কমিশনার বা তার দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক করদাতাকে প্রদত্ত প্রাপ্তি স্বীকারপত্র কর নির্ধারণী আদেশ হিসেবে বিবেচিত হয়। করদাতা রিটার্ন ফরম পূরণ পর্যায়ে রিটার্নের প্রথম পৃষ্ঠায়সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতির ঘরে টিক প্রদান করলে কিংবা রিটার্নের উপরে সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি উল্লেখ করলে দাখিলকৃত রিটার্নটি সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতির আওতায় গৃহীত হবে।অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে 82BB ধারায় আনীত সংশোধনী অনুযায়ীসার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিলকৃত রিটার্ন সংশ্লিষ্ট উপ কর কমিশনার কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিতকরণ ও এর কারণে কম কর পরিশোধ করা হলে তা আদায়ের লক্ষ্যে রিটার্নটি process করবেন। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত criterion এর ভিত্তিতে সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিলকৃত রিটার্নের ক্ষেত্রেপরবর্তীতে অডিট কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে।

পূর্ববর্তী কর বছরের আইনের ধারাবাহিকতায় ২০১৫-২০১৬ কর বছরেও সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিলকৃত রিটার্ণসমূহের মধ্যে যে সকল রিটার্নপূর্ববর্তী কর বছরের নিরূপিত আয়ের কমপক্ষে ২০% আয় বৃদ্ধি করেএবং নিন্মক্ত শর্তসমূহপূরণ করে দাখিল করবে কর বিভাগ সে সকল রিটার্ন অডিট কার্যক্রম বহির্ভূত রাখবে:

পালনীয় শর্তসমূহঃ

ক.রিটার্নের ভিত্তিতে ফেরতযোগ্য কর সৃষ্টি হবে না।

খ.কোনরূপ দান গ্রহণ প্রদর্শন করা যাবে না।

গ.রিটার্নে করমুক্ত আয় প্রদর্শন করলে করমুক্ত আয়ের সমর্থনে যাচাইযোগ্যদালিলিক প্রমাণাদি রিটার্নের সাথে দাখিল করতে হবে।

ঘ.আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৪৪ ধারা অনুযায়ী জারীকৃত প্রজ্ঞাপন অনুসারে হ্রাসকৃত হারে আয়কর প্রযোজ্য হয় এরূপ কোন আয় প্রদর্শন করা যাবে না।

ঙ.ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান অথবা অন্য যেকোন উৎস থেকে ৫ লক্ষ টাকার অধিক ঋণ গ্রহন প্রদর্শন করা হলে দাখিলকৃত রিটার্নের সাথেগৃহীত ঋণ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বিবরণী বা হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হবে।

পূর্ববর্তী বছরের মত এ বছরও আয়কর অধ্যাদেশের ৮২বিবি ধারায় সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিলকৃত নতুন রিটার্নে ব্যবসা ও পেশা খাতে প্রদর্শিত আয়ের ৪ গুন হারে প্রারম্ভিক পুঁজি নেয়া যাবে। তবে এ পুঁজি বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট আয় বছরে বা আয় বছর শেষ হওয়ার পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে ব্যবসা বা পেশা থেকে স্থানান্তর করা যাবে না। করলে যে বছর স্থানান্তর করা হবে, সে বছরের সংশ্লিষ্ট করবছরে অর্থ স্থানান্তরকারীর অন্যান্য উৎসের আয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

উল্লেখ্য যে, নিরীক্ষার আওতায় না পড়লেও কোন রিটার্নে আয় গোপন করা হলে বা কর ফাঁকি থাকলে, সংশ্লিষ্ট করবছরের রিটার্নের ক্ষেত্রে অধ্যাদেশের ৯৩ ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।একই সাথে উক্ত রিটার্ন প্রসেস করা যাবে।

টিআইএন সনদের অথবা আয়কর রিটার্নের প্রাপ্তি স্বীকার পত্রের পাশাপাশি Computer System  এর মাধ্যমে প্রদত্ত Computer generated সার্টিফিকেট বিবেচনার বিধান [section 184A]

আয়কর অধ্যাদেশের বিদ্যমান বিধানে কতিপয় ক্ষেত্রে করদাতা সনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) সনদ দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে সংশোধনী আনয়ন করে নির্ধারিত ক্ষেত্রসমূহে টিআইএন সনদ অথবা সর্বশেষ করবছরের আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রাপ্তি স্বীকার পত্রের পাশাপাশি Computer System  এর মাধ্যমে প্রদত্ত Computer generated  সার্টিফিকেটও নির্ধারিত এ সকল ক্ষেত্রে দাখিল করার বিধান বহাল রাখা হয়েছে। অর্থাৎ টিআইএন সনদের পরিবর্তে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র অথবা Computer generated   সার্টিফিকেট দাখিলের মাধ্যমেও আইনগত বাধ্যবাধকতা পূরণ করা যাবে। তবে পুরাতন করদাতাদের ক্ষেত্রে টিআইএন এবং কর নির্ধারণ সম্পন্ন সম্পর্কিত তথ্যাদিসহ সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট উপ কর কমিশনারের নিকট হতে গ্রহণ করতে হবে।