মেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের আরও ৩ বছর কর সুবিধা পাচ্ছে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিসহজ কর ব্যবস্থা চান ব্যবসায়ীরা
No icon

আজ চূড়ান্ত হচ্ছে রাজস্ব রূপরেখা

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার ছয় মাসের মাথায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনী বছরের বাজেটে যেখানে হাত খুলে খরচ করার কথা, সেখানে এবার ব্যয় সংকোচনের পথে এগোচ্ছে সরকার।এর কারণ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার বাড়াতে তদারকির ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি বিদেশ থেকে প্রতিশ্রুত অর্থের প্রাপ্তি ও তার ব্যবহার বৃদ্ধির নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর (কাটের) নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেছেন, দ্রুত উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করুন, খরচ কমান। তবে ব্যয় বন্ধ করা যাবে না, কেবল একান্ত প্রয়োজনীয় ব্যয় করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী অর্থবছরের সামগ্রিক বাজেটের আকার প্রাক্কলনের চেয়ে কমতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থ বিভাগ সংশ্লিষ্টরা।প্রাথমিকভাবে আগামী বাজেটের আকার অনুমান করা হয়েছিল ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা।

গত বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সামনে প্রাক্কলিত বাজেট তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সে সময় প্রধানমন্ত্রী অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ও ভর্তুকি কমানোর নির্দেশনা দেন।    প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে গত বৃহস্পতিবারই প্রাক্কলিত বাজেটের পরিচালন ব্যয় কমানোর কাজ শুরু হয়েছে।এদিকে আজ রবিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা এবং রাজস্ব আহরণের চিত্র প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরবেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি কর-ছাড়সহ নানামুখী উদ্যোগের বিষয় তুলে ধরবেন।আগামী অর্থবছরে এনবিআরকে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে। এই লক্ষ্য চলতি অর্থবছর থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা বেশি। গত অর্থবছরে শুল্ক-কর আদায়ে ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো ঘাটতি হয়েছিল। চলতি বছরেও যদি এমন ঘাটতি হয়, তা হলে আগামী অর্থবছরে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার বাড়তি রাজস্ব আদায়ের চাপে থাকবে এনবিআর।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ রবিবার বেলা ১১টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিশেষ বৈঠকে আগামী অর্থবছরের কর-ছাড়সহ রাজস্বনীতি চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।প্রধানমন্ত্রী অহেতুক ব্যয় করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি আমলাদের বিদেশ ভ্রমণের ফাইলও যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিতে বলেছেন। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর তাগিদ দেওয়ার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বৈধপথে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এ ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে দেওয়া বরাদ্দ যথাযথভাবে ব্যয় করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা আগামী অর্থবছরের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। তিনি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন। তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর উপকারভোগীদের ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর বদলে আওতা বাড়িয়ে অধিকসংখ্যক মানুষকে সুবিধা দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোতে চাহিদা কমে যাওয়ায়, ভবিষ্যতে রপ্তানি কমার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার খোঁজা ও বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ সহজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।