TAXNEWSBD
আমদানিতে গতি ফিরেছে, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার তাগিদ
সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১৬:০৩ অপরাহ্ন
TAXNEWSBD

TAXNEWSBD

পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে গত জানুয়ারি মাসে সাত পণ্যের সাড়ে ১২ লাখ টন আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়। ছোলা, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও পাম তেলের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। পেঁয়াজের আমদানি ভালো থাকায় দামে অস্থিরতা নেই। ঠিকঠাকমতো আমদানি হলে চিনি ও খেজুরের সংকট হবে না। ডলারসংকটের কারণে চিনির দাম কমার সম্ভাবনা তেমন নেই। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, বাজার তদারকি নিশ্চিত করলে নতুন করে এসব পণ্যের দাম বাড়বে না।জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, জানুয়ারি পর্যন্ত যে তথ্য আছে তাতে আমদানির কোনো সংকট নেই। বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের পর ঋণপত্র খোলায়ও গতি এসেছে। ফলে আমদানি ঋণপত্র নিয়ে চিন্তা নেই। চিন্তাটা হচ্ছে বাজারে রমজানের পণ্য সরবরাহ সঠিক সময়ে পৌঁছানো। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। তিনি আরো বলেন, আমদানি থেকে বিক্রি পর্যন্ত যত পর্যায়ে এসব পণ্য হাতবদল হয় তার কোনো পর্যায়েই যাতে সেগুলো মজুদ না হয় তা গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের মিটিংয়েও সার্বিক চিত্র তুলে ধরা হবে। বাজার তদারকিতে এবার সর্বোচ্চ নজর দেব। বাজার কমিটিকেও সম্পৃক্ত করব। কোনো গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করব।

শঙ্কা কাটছে চিনিতে

ঋণপত্র খুলতে না পারা এবং আমদানির পর ডলারে মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় চিনি আমদানি নিয়ে এত দিন শঙ্কা ছিল। চাহিদার বিপরীতে ডিসেম্বর পর্যন্ত চিনি আমদানি ২২ শতাংশ কম হয়েছিল। জানুয়ারিতে এসে সেই শঙ্কা কেটেছে।কাস্টমসের হিসাবে, ২০২১ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর এই ছয় মাসে অপরিশোধিত চিনি আমদানির পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৪১ হাজার টন। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর এই ছয় মাসে দেশে মোট সাত লাখ ৩৩ হাজার টন অপরিশোধিত চিনি আমদানি করা হয়েছে। আর শুধু জানুয়ারিতে আমদানি করা হয়েছে এক লাখ ৭৮ হাজার টন। সে হিসাবে জুলাই থেকে জানুয়ারি এই সাত মাসে চিনি এসেছে ৯ লাখ ২১ হাজার টন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে জানুয়ারিতে চিনি আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার টন। সেই হিসাবে ১৪ লাখ ৮৬ হাজার টন চিনি ফেব্রুয়ারির মধ্যেই পৌঁছার কথা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে চিনির মোট চাহিদা থাকে প্রায় ২০ লাখ টন। আখ থেকে চিনির উৎপাদন ৩০ হাজার টন। বাকি চাহিদা আমদানি করে মেটানো হয়। সারা বছর প্রতি মাসে গড়ে চিনির চাহিদা দেড় লাখ টনের মতো। রমজানে চিনির চাহিদা বেড়ে দ্বিগুণ হয় অর্থাৎ তিন লাখ টনে উন্নীত হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, রোজা শুরুর আগেই প্রায় ১৫ লাখ টন চিনি পৌঁছে যাবে গুদামে। পর্যায়ক্রমে আরো চিনি আসবে।চট্টগ্রাম বন্দরের হিসাবে, শুধু ফেব্রুয়ারি মাসেই চিনিবাহী জাহাজ এসেছে পাঁচটি, যেখানে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনিই আছে দুই লাখ ৪১ হাজার টন। সব বড় শিল্প গ্রুপ এই চিনি আমদানি করেছে। গেল ডিসেম্বর ও জানুয়ারির কিছু চিনির যে ঋণপত্র খোলা হয়েছে, সেই চিনি এখন দেশে পৌঁছেছে। কিন্তু জানুয়ারিতেই চিনি আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার টনের। এর মধ্যে সর্বোচ্চ এক লাখ টন চিনি দেশে পৌঁছেছে। বাকি চিনি পৌঁছবে মার্চের মধ্যে।