TAXNEWSBD
স্থিতিশীল অর্থনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনা করার ঘোষণা দিয়েছে
শনিবার, ২০ আগস্ট ২০২২ ২৩:১৮ অপরাহ্ন
TAXNEWSBD

TAXNEWSBD

মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির বিতর্কিত তাইওয়ান সফর এবং তাইওয়ানের চারপাশে চীনের এ যাবৎকালের বৃহত্তম সামরিক অভিযানের কয়েক সপ্তাহ পর দুই দেশ ঘোষণাটি দিল। মার্কিন ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের অফিস তথা বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয় জানায়, শরতের শুরুর দিকেই আলোচনা হতে পারে। এই আলোচনায় বাণিজ্য সুবিধা, ডিজিটাল তথা প্রযুক্তিগত বাণিজ্য ও দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের মান এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ন্যান্সি পেলোসি তাঁর এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে ২ আগস্ট তাইওয়ান যান এবং পরদিনই দেশটি ত্যাগ করেন। এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে তিনি সেখানে যান। ৩১ জুলাই সিঙ্গাপুরে পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে পেলোসির এশিয়া সফর শুরু হয়। এতে চীন বেশ নাখোশ হয়। তারা আগে থেকেই পেলোসির সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছিল। তাতে পেলোসির এশিয়া সফর বাতিল হয়নি। তবে চীনও চুপ করে থেমে থাকেনি। তারা পেলোসির সফর শেষ হওয়ার পরদিনই তাইওয়ানের চারদিকে সর্বকালের সর্ববৃহৎ সামরিক মহড়া প্রদর্শন করে। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ানের মধ্যে একুশ শতকের বাণিজ্য সম্পর্কিত আলোচনার উদ্যোগ প্রথম প্রকাশ করা হয় জুন মাসে। উভয় দেশই এখন বলেছে যে তারা সমঝোতা আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছেছে।


যুক্তরাষ্ট্রের উপপ্রধান বাণিজ্য প্রতিনিধি সারাহ বিয়াঞ্চি এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা একটি উচ্চাভিলাষী সময়সূচি অনুসরণ করার পরিকল্পনা করছি যা একুশ শতকের একটি ন্যায্য, আরও সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীল অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১০৬ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। এক চীন নীতির অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান দ্বীপের পরিবর্তে চীনকেই স্বীকৃতি দেয় এবং তাদের সঙ্গেই আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখে। অন্যদিকে তারা তাইওয়ানের সঙ্গেও একটি শক্তিশালী অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর মধ্যে পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ দেশটিতে অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রয়েছে, যাতে তারা নিজেদের রক্ষা করতে পারে।

স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে সব সময়ই চীন তাদের নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে। তারা মনে করে, তাইওয়ান একটি বিদ্রোহী অঞ্চল, যাদের একদিন চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একত্র হতে হবে। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেকে একটি স্বশাসিত দ্বীপ এবং মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা জনপদ বলে মনে করে।

গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এশিয়াবিষয়ক শীর্ষ কূটনীতিক ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক বলেন, বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান বলপ্রয়োগ বা জবরদস্তি...তাইওয়ান প্রণালির শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।

ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক আরও বলেন, আমরা তাইওয়ানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বেইজিংয়ের চলমান প্রচেষ্টাকে দুর্বল করা এবং তাইওয়ানকে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী নীতির সঙ্গে সংগতি রেখে সমর্থন দেওয়ার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখব। সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স