ইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের
No icon

মাংসের দাম কমাতে এনবিআরের দ্বারস্থ মন্ত্রণালয়

বিগত কয়েক বছর ধরেই হু হু করে বাড়ছে মাংসের দাম। বিশেষ করে ২০২২ সালে সব ধরনের মাংসের দাম বেড়ে হয় আকাশচুম্বী। সরকারের নানা উদ্যোগেও কোনোভাবেই বাগে আসছে না বাজার। এমনকি যেকোনো উৎসবকেন্দ্রিক দাম থাকে আরও বাড়তি। এ অবস্থায় কয়েক বছর ধরেই গরু-খাসির মাংসের দাম কমাতে নানা উদ্যোগ নেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। তবে সেসব উদ্যোগে তেমন ফল না মেলায় এবার মাংসের দাম কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দ্বারস্থ হয়েছে মন্ত্রণালয়।এনবিআর সূত্র জানায়, আগামী বাজেটে মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সই করা এক চিঠি পাঠানো হয়েছে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে। ওই চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের দাবি মেনে নিয়ে মাংসজাত পণ্যকে নিত্যপ্রয়োজনীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলে এ খাতের ব্যবসায়ীরা আগাম আয়করে (এআইটি) ছাড় পাবেন। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আগাম আয়কর নেমে আসবে ২ শতাংশে, বর্তমানে যা ৭ শতাংশ।আগামী বাজেটে মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সই করা এক চিঠি পাঠানো হয়েছে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে

তবে আগাম আয়কর মাংসের মূল্যবৃদ্ধির একমাত্র কারণ নয়। মূল্যবৃদ্ধির জন্য গোখাদ্যের অতিরিক্ত দাম, বিদেশ থেকে অবৈধভাবে মাংস আমদানি, বাজার নজরদারি ও মাংস বিক্রির সঙ্গে জড়িত কর্তৃপক্ষের জবাবদিহির অভাবকে দায়ী করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম সর্বোচ্চ, এমনকি পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় বেশি। বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮শ টাকার ওপরে। এছাড়া খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ থেকে শুরু এক হাজার ৩০০ টাকায়।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাল, ডাল, গম, ময়দা, চিনি, তেল, আলু, খেজুর, রসুন, আদা, হলুদ, শুকনো মরিচ, পাট, সুতাসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ২ শতাংশ উৎসে কর আদায় করে রাজস্ব বোর্ড। এই তালিকায় মাংস ও মাংসজাত পণ্য অন্তর্ভুক্ত হলে আমিষের চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান তৈরি ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে।এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, বেশিরভাগ মাংসই ইনফরমাল চ্যানেলে বা অনানুষ্ঠানিকভাবে বিক্রি হয়। বর্তমানে মাংসের দোকান ভ্যাট, ট্যাক্সের আওতার বাইরে। তবে ধীরে ধীরে তারাও রাজস্বের আওতায় আসবে। কয়েক বছর ধরেই আগাম আয়কর সম্পূর্ণ মওকুফের দাবি আসছে। তবে এবার আগাম আয়কর কমানোর বিষয়ে চিঠি এলো প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে।