ইরানের তেল রফতানিতে বাধা নেইদশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের
No icon

ইলেকট্রিক গাড়ি সহজলভ্য করতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চান ব্যবসায়ীরা

ইলেকট্রিক ভেহিকলকে (ইভি) বা বৈদ্যুতিক মোটরযানকে পরিবেশবান্ধব উল্লেখ করে এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই)।রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত প্রাক--বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানানো হয়।বিসিসিসিআই বলছে, ইলেকট্রিক মোটরযান (বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, বাস, ট্রাক, গল্ফ কার্ট, ফর্কলিফ্ট) আমদানিতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য শুল্কমুক্ত অথবা শুল্ক কমিয়ে আনা ও প্রয়োজনে মূল্য নির্ধারণ করা জরুরি। এসব পণ্যে এইচএস কোড সঠিকভাবে নিরূপণ করে মোটরযানগুলোকে কমপ্লিট বিল্ট-আপ ইউনিটস (সিবিইউ) এবং সেমি নকড ডাউন (সিকেডি) আলাদা করা প্রয়োজন। এছাড়া সিকেডির কন্ডিশন অনুযায়ী সিবিইউর পার্থক্য ২৫ শতাংশ করার দাবি জানায় বিসিসিসিআই।আইবিসিসিআই তাদের প্রস্তাবে জানায়, তিন চাকার সিএনজি, এলএনজি, এলপিজিচালিত গাড়ি উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিকাশ ও প্রসারের লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে কতিপয় শর্ত পালন সাপেক্ষে উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ে এবং উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে মূসক, শুল্ক ও করের রেয়াতি সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে চেসিস, রিয়ারবডি, শক এবজরবার, মাফলার উৎপানের স্বক্ষমতা থাকতে হবে। এ শর্ত সংশোধনের মাধ্যমে মূসক শুল্ক ও করের রেয়াতি সুবিধাসমূহের জন্য যোগ্য বিবেচনা করতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন (ওয়েন্ড) তাদের প্রস্তাবে নারীদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭ লাখে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছে।

অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (এটিএমএ) প্রাক-বাজেট প্রস্তাবনায় জানায়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী আগামী অর্থবছরে জিডিপির অন্তত দশমিক ৫ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর রাজস্ব আদায় করতে হবে। অর্থাৎ কমপক্ষে ৬৫ হাজার কোটি টাকা কর আদায় বাড়াতে হবে। তামাকের দাম বাড়িয়ে বাড়তি করের উল্লেখযোগ্য অর্থ আদায় সম্ভব। সব সিগারেট ব্র্যান্ডে সম্পূরক শুল্ক খুচরামূল্য ৬৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া ফিল্টারযুক্ত ও ফিল্টারবিহীন বিড়িতে এই হার ৪৫ শতাংশ করা, জর্দা এবং গুলের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া সব তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখার প্রস্তাব দিয়েছে এটিএমএ।

এসময় সব প্রস্তাব শুনে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা সহজে ব্যবসা করেন, ট্যাক্স দেন। তবে আপনাদের দাবি থাকে সব ট্যাক্স মওকুফ করে দেওয়া হোক। মধ্যম ও উন্নত দেশের মানুষ পুরোপুরি ট্যাক্স দেয়, এ কারণে তারা উন্নত। যেহেতু আমরা মধ্যম-আয়ের দেশে যাচ্ছি আপনাদের সবার যেন এই ট্যাক্স মওকুফের কালচার থেকে বের হয়ে আসার অনুভূতিটা থাকে।অনেক খাতকে এনবিআর অ্যাসেম্বলিংয়ের জন্য সাপোর্ট দিয়েছে উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সুযোগ দিচ্ছি যাতে তারা উৎপাদনের দিকে যেতে পারে। কিন্তু তারা এখনো অ্যাসেম্বলিং-ই করে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়নি। এই সাপোর্টের কোনো মানে হয় না।