দশ পণ্যে রাজস্ব আহরণে ধসআমদানিনির্ভর নিত্যপণ্যের শুল্ককর যৌক্তিক হতে হবেমেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় আইপিডিস্বর্ণালংকারে ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসেরসিগারেটে কর বাড়ানোর আহ্বান এমপিদের
No icon

অনলাইন গ্রাহক বাড়ায় মুনাফা বেড়েছে নিউইয়র্ক টাইমসের

গত বছর ১০ লাখের বেশি ‘শুধু ডিজিটাল গ্রাহক পেয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস কোম্পানি। এতে প্রখ্যাত এ গণমাধ্যমের অনলাইন গ্রাহকের সংখ্যা বর্তমানে ৮৮ লাখ ছাড়িয়েছে। আর এক বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি মুনাফা অর্জন করেছে এ কোম্পানি।গত বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে তাদের ২ লাখ ৪০ হাজার ডিজিটাল গ্রাহক বেড়েছে। এভাবে চললে আগামী ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ সব মিলিয়ে দেড় কোটি ডিজিটাল গ্রাহক অর্জন করা সম্ভব হবে।এ ছাড়া গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক ক্রীড়া ওয়েবসাইট অ্যাথলেটিককে অধিগ্রহণ করে কোম্পানিটি। অ্যাথলেটিকের নিজস্ব অনলাইন গ্রাহক আছে ১০ লাখের কাছাকাছি। এই সংখ্যা যোগ হলে নিউইয়র্ক টাইমস কোম্পানির বর্তমান গ্রাহকসংখ্যা ৯৬ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।

এর বিপরীতে ২০২১ সালে কোম্পানিটির ছাপা পত্রিকার গ্রাহক ছিল ৭ লাখ ৯৫ হাজার। গত বছর সেই সংখ্যা ৭ লাখ ৩০ হাজারে নেমে এসেছে। এর অর্থ হচ্ছে, অর্থ ব্যয় করে অনলাইন মাধ্যমে নিউইয়র্ক টাইমস পড়া গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।ছাপা পত্রিকার গ্রাহক কমতে শুরু করায় অনেক গণমাধ্যম সাম্প্রতিক মাসগুলোয় মুনাফা হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও অনলাইন গ্রাহক বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের তুলনায় মুনাফা বেড়েছে নিউইয়র্ক টাইমসের।২০২২ সালে নিউইয়র্ক টাইমস কোম্পানি ৩৪ কোটি ৭৯ লাখ মার্কিন ডলার পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে। সব মিলিয়ে গত বছর কোম্পানিটির বার্ষিক আয় ছিল ২৩০ কোটি ডলার, যা এর আগের বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রধান নির্বাহী মেরেডিথ কোপিট লেভিয়েন গত বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২০২০ সালের পর থেকে তাঁদের ডিজিটাল গ্রাহকসংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল গ্রাহক বৃদ্ধির দিক থেকে এটি তাঁদের দ্বিতীয় সেরা বছর।এদিকে ডিজিটাল গ্রাহক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাবস্ক্রিপশন থেকে আয়ও বাড়ছে। ২০২৩ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে কোম্পানিটির ডিজিটাল সাবস্ক্রিপশন থেকে আয় আগের বছরের তুলনায় ১৩ থেকে ১৬ শতাংশ বৃদ্ধির আশা করছে তারা, যদিও তারা বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমার পূর্বাভাস দিয়েছে।সর্বশেষ ত্রৈমাসিকে নিউইয়র্ক টাইমসের পরিচালন ব্যয় প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে প্রযুক্তি ব্যয় ৩০ শতাংশ বাড়লেও বিক্রয় ও বিপণন ব্যয় কমেছে ৩৬ শতাংশ।